সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন

ঢাকায় বসেও মন উড়ে গিয়েছিল ভার্জিনিয়ার ডিসি বইমেলায় -হাসনাইন সাজ্জাদী

ঢাকায় বসেও মন উড়ে গিয়েছিল ভার্জিনিয়ার ডিসি বইমেলায় -হাসনাইন সাজ্জাদী

ঢাকায় বসেও মন উড়ে গিয়েছিল ভার্জিনিয়ার ডিসি বইমেলায়
-হাসনাইন সাজ্জাদী
।।
ওয়াশিংটন ডিসির ভার্জিনিয়ার হলিডে ইন এক্সপ্রেস বলরুমে গত ২৯ ও ৩০ অক্টোবর ২০২২ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ডিসি বইমেলা২০২২। ২০১৯ এ প্রথমবারের মত এ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
তারপর করোনাভাইরাস অতীমারির ফলে দু’বছর বন্ধ থাকার পর এ আয়োজনটি এবার সে ধারাবাহিকতায় সফল ভাবে সম্পন্ন হয়।সংস্কৃতিজন একুশে ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যাক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম বইমেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য এ বছর ডিসি বইমেলা ২০২২ পদক লাভ করেন কবি আসাদ চৌধুরী।
শিশুদের মধ্যে এ মনোজ্ঞ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন ইরাজ তালুকদার,আক্তার আহমেদ রানা ও সংস্কৃতিজন লায়লা হাসান।সৈয়দ আশরাফ আহমেদের পরিকল্পনায় ‘বেগম রোকেয়াঃবাংলা ভাষার প্রথম সার্থক কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা’ শিরোনামে একটি সেশন।কবিতা পাঠ,সংগীত পরিবেশন, বইপ্রকাশনা,সেমিনার আয়োজন ছাড়াও বেশ কয়েকটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।তারমধ্যে মুক্তিযুদ্ধের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘Nowfel Never Dise’, ভাষা আন্দোলনের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘ Mother Tinge ‘.এ ছাড়াও দ্রোহ/রিভোল্ট, নারী-দ্য ডিভাইন স্টোন’।
সাহিত্য-সংস্কৃতির সুবাদে বড়ো ভাই দস্তগীর জাহাঙ্গীর তুঘ্রিল এ আয়োজনের আহবায়কছিলেন।তিনি ডিসি বইমেলার স্বপ্নদ্রষ্টা।তারই চিন্তা প্রসূত এ বই মেলা এখন আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাঙালির এক স্বতন্ত্র উৎসবে পরিণত হয়েছে।তিনি আহবায়ক ছাড়াও সঙ্গীত পর্বের পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন তারই সহধর্মিণী ও সঙ্গীত শিল্পী আমাদের দিনার মণি ভাবি।প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন রোকেয়া হায়দার ও প্রধান সমন্নয়ক ছিলেন বিসিসিডিআই বাংলা স্কুলের সাবেক সভাপতি আতিয়া মাহজাবীন নীতু।আমি আয়োজনে বিজ্ঞান কবি ও প্রকাশক হিসাবে আমন্ত্রণ পেলেও শেষ পর্যন্ত ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতায় যেতে পারিনি।তবে মন পড়েছিল ডিসি বইমেলা ২০২২ -এ এবং সার্বক্ষণিক দৃষ্টি নিবন্ধিত ছিল তাতে।সাফল্য কামনা ছিল কায়মনে।সুন্দরভাবে আয়োজনটি সমাপ্ত হয়েছে শেষপর্যন্ত।
লক্ষ্যনীয় বিষয় ছিল আয়োজনের স্লোগান।তাদের ‘বিশ্বজুড়ে বাংলা বই’ স্লোগান এখন বিশ্বময় ছড়িয়ে দেবার কাল যাচ্ছে।বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বাঙালির সামনে এখন ঐক্যের একমাত্র প্রতীক এ বাংলা বই, যা এখন আমাদের অনেক বড়ো অবলম্বন ও পরিচয়।
আরো বড়ো পরিচয় ছিল শিল্পীদের কণ্ঠে ব্রতচারী আন্দোলনের শত বছর আগের স্লোগান।গুরুসদয় দত্ত প্রবর্তিত ব্রতচারী আন্দোলন ছিল ষোলো আনা খাটি বাঙালি তৈরির জন্য।’আমরা বাঙালি,আমরা বাংলাকে ভালোবাসি,আমরা বাংলার সেবা করবো’ এ স্লোগান নিয়ে ব্রতচারী আন্দোলন একবার ভারতবর্ষে ছড়িয়ে গিয়েছিল।সিলেটে জন্ম নেয়া গুরুসদয় দত্তের এ আন্দোলন এখনো প্রাণ যোগাচ্ছে বিশ্বব্যাপী।যার প্রমাণ ‘মানুষ হ’ আবার তোরা মানুষ হ’ গানের সমবেত পরিবেশনা ডিসি বইমেলাতে।মহিতোষ তালুকদার তাপসের নির্দেশনায় বইমেলা টীম গেয়েছেন ‘করে বাংলা জাতপ্রাণ/খেটে বাংলা সেবায় দান।বাংলা ভাষায় বুলি বলে,বাংলা ধাঁচে নেচে খেলে/সম্পুর্ন বাঙালি হ’।বিশ্ব মানব হবি যদি/শাশ্বত বাঙালি হ’।
আয়োজনের উপদেষ্টা হিসাবে ছিলেন কবি আনিস আহমেদ,আশরাফ আহমেদ,ইকবাল বাহার চৌধুরী,বিজ্ঞানী ড.নজরুল ইসলাম,সৈয়দ হারেস,আনোয়ার ইকবাল,সরকার কবির উদ্দিন,বেলাল বেগ,ড.শোয়েব আহমেদ,মিজানুর রহমান,ড.জাহাঙ্গীর খান,ড.আরিফুর রহমান প্রমুখ।

এই সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




themesbazar_brekingnews1*5k
© All rights reserved © 2020
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD